Monday, February 25, 2013

আমি সেই নারীকে চাই : মানুষরূপী নারী

যে নারী আমাকে করবে পূর্ণ ও ঋদ্ধ

প্রতিটি মানুষ বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গ পাবার জন্যে অধীর। পুরুষের বুকে নারীকে পাবার আকুলতা যেমন থাকে, তেমনি পুরুষকে পাবার জন্যে নারীর বুকেও থাকে আকুলতা। নারী-পুরুষের এই চাওয়া কাম থেকেই বেশি আসে। এটা অস্বাভাবিক নয়। এই সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই আজ পৃথিবী ফুলে ফলে ভরে উঠেছে। তাই কাম কখনোই অসুন্দর নয়। এটা যেমন সুন্দর, তেমনি, এটা একমাত্র নয়।

Friday, February 22, 2013

এই শঙ্কার সমাজ আমাদের লজ্জার কারণ নয় কি?

আমার ফেসবুকের বাংলাদেশি বন্ধুদের মধ্যে যারা ইউরোপ-আমেরিকাতে থাকে, তারা প্রায় প্রায় বাংলাদেশে এসে নিরপত্তাজনিত শঙ্কার কথা বলে। তাদের মতে, ওখানে একটা ২০-২২ বছরের মেয়ে একা গাড়ি নিয়ে পুরো দেশ ধেই ধেই করে ঘুরে বেড়ালেও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করে না। সেটা হোক দিনে বা রাতে। সে সমস্যায় পড়লে তাকে কেউ বিপদে ফেলে না। একজন আরেকজনকে সাহায্য

Tuesday, February 19, 2013

শুধুমাত্র সৎ মানুষের মূল্যায়ন করে সমাজটাকে সুন্দর করতে পারি

যে মানুষ নানান সংকটের মধ্যে দিয়ে
পথ চলেও সৎ থাকে, সে মানুষই নিখাত সৎ

সততার মূল্যায়ন হলেই শুদ্ধ সমাজ আসবে


অর্থ ও ক্ষমতা দিয়ে একজন মানুষের সততা সবথেকে বেশি মাপা যায়। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থ ও ক্ষমতার উল্লেখ করেই মানুষের সততা ও অসততা মেপে থাকি। কেউ টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিলে তাকে আমরা যেমন তাকে অসৎ বলি তেমনি কেউ টাকা ধার নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দিলে আমরা তাকে সৎ মানুষ বলি। সততার সাথে অর্থ ও ক্ষমতার কথা সবথেকে বেশি আসে।

Monday, February 18, 2013

মিলমিশের আগে চাই সততা


মিলমিশের আগে চাই সততা


লেখার প্রথমেই হুমায়ূন আহমেদ এর মতের বিরোধিতা করছি। তিনি ২৬জুলাই এর একটি জাতীয় দৈনিকে এক লেখায় পারিবারিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। যেখানে মাজারে গিয়ে ঔ দলের শিশু রিসাদ আল্লাহপাকের কাছে একটি নীল রংয়ের গাড়ি চায় এবং সে পেয়েও যায়। তাকে বলা হয়েছে যে, সে যা চাইবে তাই পাবে। সেদিন হুমায়ূন আহমেদ নিজে অন্য কিছু চেয়েছেন। তিনি যা চেয়েছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘‘হে আল্লাহপাক তুমি আমাদের দেশের দুই নেত্রীর মধ্যে মিলমিশ করে দাও। দেশের মানুষ এটা চাচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে না। তুমি চাইলেই হবে।’’ এবং সেই লেখায় তিনি দেশের সবাইকে নিয়ে একটা প্রার্থনা দিবসেরও আয়োজন করতে চাওয়ার কথা বলেছেন।

Saturday, February 16, 2013

চলতি পথে


কয়েকদিন আগে একজনের সাথে পরিচিত হলাম। কিছু সময় পর স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কথা শুরু হলো। এরপর শাহবাগের প্রজন্মের আন্দোলন নিয়ে কথা উঠলো। আমরা তখন চা হাতে নিয়ে কথা বলছি। কথা বলা বেশ জমে উঠছে বলে চায়ে ঠিকমতো চুমুক দেওয়া হচ্ছে না। কথার শুরুতেই আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম, ইনি কোন ধরণের রাজনীতির সমর্থক। জামাত-শিবিরের প্রতি সমর্থন থাকলে এই বিষয় নিয়ে আর আগাবো না ধরে নিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার রাজনৈতিক দর্শন টা জানতে পারি কি?

Friday, February 15, 2013

একটি সহজ অংক

এরকম প্রতারণা পদে পদে

আমাদের দেশে মুঠোফোন সেবাদাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো কোম্পানী গ্রামীণফোনের আমি একজন গ্রাহক। আমাদের দেশে এই কোম্পানীটি অন্যান্য মুঠোফোন সেবাদাতা কোম্পনীর থেকে ভালো(?) সেবা দেন বলে সবসময়ই নিজেরা বলে থাকে এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। সেদিকে না গিয়ে আমরা শুধু একটা সহজ হিসাব করবো আজ। গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা এখন ২.৮৭ কোটি (সুত্র: ডেইলি স্টার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০)।-প্রতিদিন এই পরিমাণ গ্রাহকের অনেকেই নানা প্রয়োজনে গ্রামীণফোনের কলসেন্টারে কল করে কথা বলেন। কখনো গ্রামীণফোনসৃষ্ট সমস্যার সমাধান নিতেও গ্রাহক কল করতে ব্যাধ্য হন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হোক


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির যে প্রভাব পড়ে তাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতভাবে বিঘ্নিত হয়। মূলত আমাদের দেশে আগে জাতীয় সরকার নির্বাচন এবং পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কারনেই এই প্রভাব পরে এবং প্রভাব পড়ার সুযোগ সৃষ্টি থাকে। এই প্রভাব পড়ার ব্যাপারটিও ঘটতো না যদি নির্বাচিত জাতীয় সরকারের মনে নিরপেক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং স্বচ্ছ মানসিকতা থাকতো। যেহেতু নির্বাচিত হবার পর জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা চলে আসে তাই এর অপপ্রয়োগ করতে তারা ছাড়েন না। প্রভাবমুক্ত করতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে পারলেই এর একটা সমাধা হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের যথার্থ মূল্যায়ন প্রয়োজন


আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা আমাদের অহংকার। বাংলার এইসব বীর সনত্মানদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। বহু মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ নিয়ে যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁরা কি আজ মর্যাদার সাথে বাঁচতে পারছেন?

ফেলে আসা স্মৃতি ও নির্মাতা অমিতাভ রেজার কাছে প্রশ্ন

আমি (রুমন আনাম) ও অমিতাভ রেজা

৬বছর আগের এই ছবিটা আজ খুঁজে পেলাম। ছবিতে আমি ও অমিতাভ রেজা। পেছনে যিনি আছেন, তিনি আমার সাথে কর্মশালা করেছিলেন। নাম মনে নেই। এখনকার মতো তখনো অমিতাভ রেজা বিজ্ঞাপন বানিয়ে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন।

শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের একটা সংগঠন এই কর্মশালার আয়োজন করেছিলো। প্রতিষ্ঠানটির নাম মনে পড়ছে না। কর্মশালাটি ছিল ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রের উপর। অমিতাভ রেজা ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক ভালো জানেন। ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র সম্পর্কে আমার আগ্রহ ও নান্দনিক ধারণা অমিতাভ রেজার মাধ্যমে। অমিতাভ রেজার সাথে বসে আমরা দেখেছিলাম "অযান্ত্রিক" সিনেমাটি।

Thursday, February 14, 2013

সবার মন বুঝতে পারার মতো রাষ্ট্রপ্রধান চাই

একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ভিন্ন ভিন্ন বয়সের মানুষের মন বোঝার যোগ্যতা থাকলে তবেই তিনি প্রকৃত রাষ্ট্রপ্রধান। আমাদের সমাজ যেমন বুড়োদের দ্বারা শাসিত হচ্ছে, তেমনি আমাদের রাষ্ট্রও। একজন বুড়ো মানুষের দ্বারা স্বাভাবিকভাবেই যেমন তরুণদের মনের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া কষ্টকর, তেমনি একটি শিশুর মনের চাহিদাকেও গুরুত্ব দেওয়া কষ্টকর। কিন্তু সেই সংকীর্ণতা থেকে উপরে উঠে তরুণ, শিশু, ভবঘুরে, মজুর, জেলে, ভিক্ষুকসহ সর্ব শ্রেণির মানুষের মনের ভাব ও তাদের চাহিদা অনুভব করতে পারা সম্ভব। প্রয়োজন সব শ্রেণির মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে গিয়ে তাদের মতো করে ভাবতে শেখা ও ভাবতে পারা। পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের চাহিদা ও কথা বোঝার জন্যে প্রচুর পড়াশোনা ও তা চর্চারও বিকল্প নেই।

Wednesday, February 13, 2013

রবার্ট ইঙ্গারসল এর উপলব্ধির কথা

যেদিন নিশ্চিতভাবে বুঝে গেলাম আমার চারপাশের সবকিছুই প্রাকৃতিক, সকল দেবতা, অপদেবতা কিংবা ঈশ্বর মানুষের সৃষ্ট পৌরাণিক চরিত্র ব্যতীত কিছুই নন, সেদিন সত্যিকারের স্বাধীনতার তীব্র আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলো আমার মন, শরীরের প্রতিটি কণা, রক্তবিন্দু, ইন্দ্রিয়। আমাকে সীমাবদ্ধ করে রাখা চার দেয়াল টুকরা টুকরা হয়ে মিশে গেলো ধুলোয়, আলোর স্রোতে আলোকিত হয়ে উঠলো আমার অন্ধকূপের প্রতিটি কোণ। সেদিন থেকে আমি কারও চাকর, সেবক বা বান্দা নই। এই পৃথিবীতে আমার কোনো মনিব নেই, আমার কোনো মনিব নেই এই সীমাহীন মহাবিশ্বেও। আমি স্বাধীন, মুক্ত- চিন্তা করতে, চিন্তারাজি প্রকাশে, আদর্শ নির্ধারণে, ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গী করে নিজের মতো বাঁচতে। আমি স্বাধীন আমার মানসিক এবং শারীরিক ক্ষমতা ব্যবহারে, প্রতিটি ইন্দ্রিয় দিয়ে কল্পনার ডানা মেলে উড়ে যেতে, নিজের মতো স্বপ্ন দেখতে, আশা করতে। আমি স্বাধীন নিজের মতো ভাবতে, আমি স্বাধীন নির্দয়, উগ্র ধর্মকে অস্বীকার করতে, আমি স্বাধীন ছুড়ে ফেলে দিতে অসভ্য, মূর্খের 'অলৌকিক' গ্রন্থসমূহকে, এই গ্রন্থসমূহকে পুঁজি করে করা অসংখ্য নিষ্ঠুরতাকে।

মুক্তিযোদ্ধা গিলবার্ট নির্মল বাইন এর প্রশ্ন

মুক্তিযোদ্ধা গিলবার্ট নির্মল বাইন রাজাকারদের ফাঁসি নিয়ে তাঁর অভিমত জানিয়েছিলেন ফেসবুকে। সেখান থেকে ভালোলাগা এই লেখাটি পোস্ট করছি।

বাংলাদেশে শিশুশিক্ষার বাণিজ্যে প্রকৃত শিক্ষা-সংকট

বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেনের শিশুরা বইয়ের বোঝা বয়ে চলে

শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা হয় তা আমরা সবাই প্রায় জানি। কিন্তু শিশু শিক্ষার মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও যে নির্মম ব্যবসা ও শিক্ষার নামে নির্যাতন হয়, তা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। অথবা বুঝলেও কিছু করতে পারছি না।

এখন শিক্ষার সাথে যুক্ত হয়েছে বাবা মায়ের মর্যাদাবোধ ও সামাজিক জৌলুশ প্রকাশের হীন চেষ্টা। এই জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে আমাদের কোমলমতি শিশুরা। মাঝখানে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।

ব্যক্তিত্বের লড়াই


ব্যক্তিত্বের লড়াই ও জীবন


ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ে জীবনের একান্ত চাওয়াগুলি দলিত ও বঞ্চিত হয়। কখনো কখনো একান্ত চাওয়াগুলি বেতাল হয়ে তার সব পাওনা আদায়ের জন্যে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এলেও
, বহুদিন ধরে চর্চা করা শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের কাছে সে পরাজিত হয়। ব্যক্তিত্বচর্চা করা মানুষের ব্যক্তিগত জীবন এভাবেই বঞ্চিত হয়।

Sunday, February 3, 2013

ফেসবুকে কিছু হিজিবিজি অভিজ্ঞতার একটি



প্রায় দুই বছর আগে এই লেখিকাকে (?) অ্যাড করার জন্যে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। তিনি কনফার্ম করার পর আমি ধন্যবাদ দিয়ে মেসেজ দিয়েছিলাম। তিনি কোনো উত্তর লেখেন নি। এর মধ্যে আমি ইনাকে আমার বন্ধু তালিকা থেকে রিমুভ করে দিয়েছি। একটু আগে তিনি প্রথমবারের মতো আমাকে মেসেজ লিখলেন। তিনি লিখেছেন,


বইমেলায় নিমন্ত্রণ। ২১২-১৪ নম্বর স্টলে। দিব্য প্রকাশ। উপন্যাস-অপরাজিতা আসবে ৮ তারিখ থেকে। পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।

তিনি কি বই বিক্রি করার জন্যেই শুধু ফেসবুক ব্যবহার করেন কি না, এই প্রশ্ন বারবার জাগছে। কি লেখা যায়, এই মেসেজের প্রতিউত্তরে, তা বুঝে উঠতে পারছি না।