Friday, February 15, 2013

মুক্তিযোদ্ধাদের যথার্থ মূল্যায়ন প্রয়োজন


আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা আমাদের অহংকার। বাংলার এইসব বীর সনত্মানদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। বহু মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ নিয়ে যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁরা কি আজ মর্যাদার সাথে বাঁচতে পারছেন?


এখনো আমাদের দেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই দুবেলা খাবারের জন্য নানা ধরনের নিম্নমানের কাজ করছেন। কেউ রিকশা চালান, আবার কেউ দিনমজুরের কাজ করেন। এমনকি কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে ভিক্ষা করতেও দেখা যায়। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করার খবর আমরা তো প্রায়ই পাই। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা সরকার জানলেও মুক্তিযুদ্ধের পর নানা কারনে আহত, অসুস' বা বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস' মুক্তিযোদ্ধাদের খবর সরকার তেমন জানেন না অথবা তাদের খবর সরকারের কাছে নেই।

নিম্নমানের কাজ করে বা ভিক্ষা করে জীবনযাপনের জন্যই কি এইসব শ্রেষ্ঠ সনত্মানেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা এনেছেন? অনেক অসুস' মুক্তিযোদ্ধা অসচ্ছলতার কারনে ঠিকমতো চিকিৎসাটুকু করাতে পারছেন না। এসব কি জাতীর জন্য লজ্জার নয়? আমাদের এইসব শ্রেষ্ঠ সনত্মানেরা অনেকেই প্রাণ ত্যাগ করেছেন। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরা আর বেশি দিন থাকবেন না। তাঁদের জীবনকালে যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে। তাঁদের আর্থিক সামাজিকসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদান করে মর্যাদাকর একটি জীবনযাপনের নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।মুক্তিযোদ্ধাদের যথার্থ মূল্যায়ন প্রয়োজন

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা আমাদের অহংকার। বাংলার এইসব বীর সনত্মানদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। বহু মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ নিয়ে যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁরা কি আজ মর্যাদার সাথে বাঁচতে পারছেন?

এখনো আমাদের দেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই দুবেলা খাবারের জন্য নানা ধরনের নিম্নমানের কাজ করছেন। কেউ রিকশা চালান, আবার কেউ দিনমজুরের কাজ করেন। এমনকি কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে ভিক্ষা করতেও দেখা যায়। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করার খবর আমরা তো প্রায়ই পাই। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা সরকার জানলেও মুক্তিযুদ্ধের পর নানা কারনে আহত, অসুস' বা বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস' মুক্তিযোদ্ধাদের খবর সরকার তেমন জানেন না অথবা তাদের খবর সরকারের কাছে নেই।

নিম্নমানের কাজ করে বা ভিক্ষা করে জীবনযাপনের জন্যই কি এইসব শ্রেষ্ঠ সনত্মানেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা এনেছেন? অনেক অসুস' মুক্তিযোদ্ধা অসচ্ছলতার কারনে ঠিকমতো চিকিৎসাটুকু করাতে পারছেন না। এসব কি জাতীর জন্য লজ্জার নয়? আমাদের এইসব শ্রেষ্ঠ সনত্মানেরা অনেকেই প্রাণ ত্যাগ করেছেন। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরা আর বেশি দিন থাকবেন না। তাঁদের জীবনকালে যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে। তাঁদের আর্থিক সামাজিকসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদান করে মর্যাদাকর একটি জীবনযাপনের নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।

এই লেখাটি ২০০৮সালের ২৬ মার্চ লেখা। এটা প্রথম আলোর লেটার কলামে ছাপা হয়েছিলো। তখন নিয়মিত লিখতাম।

No comments:

Post a Comment