Saturday, May 25, 2013

এমপি-মন্ত্রীদের ফটোগ্রাফারের মূল্যায়ন


ফটোগ্রাফি সবারই লাগে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার লাগে। এমন কি যে মোল্লারা ফটোগ্রাফিকে দুই চোখে দেখতে পারে না তাদেরও লাগে।

আমাদের মন্ত্রী-এমপি সাহেবদেরও ফটোগ্রাফি লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মন্ত্রি-এমপি সাহেবরা যে ফটোগ্রাফার নিয়োগ দেন তাঁর মেধাস্বত্ব বিষয়টা মানেন না। তেনারা মনে করেন, "টাকা দিয়ে ফটোগ্রাফার রাখছি আবার একটা ৫লাখ টাকার ক্যামেরাও কিনে দিছি। মেধাস্বত্ত্ব ফেধাস্বত্ত্ব কিসের?" মেধাস্বত্ত্ব না মানলেও অনেকে এতো আক্ষেপ করবেন না। অবশ্য, অনেকে এটা জানেই না। কিন্তু মন্ত্রি-এমপি সাহেবরা যখন বাহারি ছবিগুলা পাবলিশ করেন তখন ফটোগ্রাফারের নামটাও উল্লেখ করেন না। একজন ক্রিয়েটিভ লোকের এই মূল্যায়নটুকু না করা কিছুতেই মানা যায় না।


এটা তারা কেন করেন? দুইটা কারণ খুঁজে পেয়েছি,
০১. ফটোগ্রাফার পরিচিত পেয়ে যেতে পারে এই ভয়ে ও জেলাসে।
০২. "জনাবের হাসিটা বড়ই সুন্দর" এই কথা বলার পাশাপাশি যদি কেউ বলে, "ফটোগ্রাফার ভালো ছবি তোলে" তাহলে মন্ত্রি-এমপি সাহেবরা সহ্য করতে পারবেন না, এই কারণে। প্রেসার বেড়ে যাবে, এই ভয়ে।

মাগনা ছবি তুলে দিয়ে ছবিতে ফটোগ্রাফারের নাম ওয়াটারমার্ক করে দিলে সেটাই আমাদের বন্ধুবান্ধবরা চুরি করে মুছে ফেলার চেষ্টা করে। এটা বন্ধুদের জেলাসি। কিন্তু ঠিক সেরকম মানসিকতা এমপি-মন্ত্রীরাও যদি রাখেন তাহলে সাধারণ মানুষ উনাদের কাছ থেকে কি শিখবে? একজন ফটোগ্রাফারকে মূল্যায়ন না করার পেছনে আর কোনও কারণ দেখি না। কথাগুলি বিশ্বাস না হলে ফেসবুকে যেসব মন্ত্রি-এমপি সাহেবরা আছেন তাদের দেখে আসতে পারেন।

No comments:

Post a Comment