Sunday, June 2, 2013

শাহবাগ আন্দোলনের অশুদ্ধ চেতনাগুলি আমাদের থমকে দিলো

শাহবাগের মৃতপ্রায় আন্দোলন নিয়ে কিছু মূলের কথা


চেতনার এই আন্দোলন আমাদের কলঙ্গমুক্ত ও শুদ্ধ সমাজের স্বপ্নে মাতোয়ারা করেছিলো। আমরা হাতে হাত ধরে এগিয়ে গেছি। আমাদের সম্মিলিত শক্তি দেখে আশায় বুক বেঁধেছি। বাঙালির জাতীয়তাবাদ নিয়ে হতাশা দূর হতে শুরু করেছিলো। মনে হয়েছে, আমরা শুধু ঘুমিয়ে থাকি না, একত্রিতও হতে জানি।


কিন্তু, চেতনার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলনকারীদের মধ্যে যে ঘুণেধরা মানসিকতা দেখেছি তা বেদনার। শাহবাগের আন্দোলনকে নিয়ে লেখা এবং তা প্রকাশের জন্যে তথাকথিত চেতনাধারীদের মধ্যে যে মানসিক দৈন্যতা দেখেছি তা কষ্টের। চেতনার মানুষ কাজ করে যাওয়াতে আস্থাবান হবেন। চেতনার মানুষ শুধুমাত্র শুদ্ধ নয় ভীষণভাবে বিশুদ্ধ হবেন। কিন্তু, তাদের দেখেছি টিভিতে মুখ দেখানোর লালসা। তাদের মধ্যে দেখেছি ফেসবুকের লাইক ও কমেন্ট পাওয়ার দৈন্যতা। তাদের মধ্যে দেখেছি চেতনার নামে অযৌক্তিক কথার বহর। এমনকি তারা পন্থীঘেঁষা হয়ে আন্দোলনকে কলুষিত করেছে। পন্থীঘেঁষা হয়ে বিভাজন করেছে। ফলে আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্যে ভিন্ন পন্থার লোকেরা উঠেপড়ে লেগেছে। এই অশুদ্ধতা আমাদের আন্দোলনের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। ফলাফল হিশেবে আন্দোলন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।

এখন চেতনার কথা বলা কাউকে দেখলে চোখ ঘুরিয়ে নেই। স্ট্যান্ডবাজ ছাড়া তাকে আর কিছু ভাবতে পারি না। শাহবাগের আন্দোলনে আমি কি রকম সাপোর্ট দিয়েছি তা অনেকেই জানে না। কারণ, আমি প্রচারের লালসা ধারণ করে কপট সাজতে চাই নি। এটা আমার দ্বারা হয়ও না। যারা আমার অবদান ও কাজের শুদ্ধতা জানেন তাঁদের একজনের মূল্যায়ন পেলেও আমি তৃপ্ত হয়ে বাঁচতে চাই। আর ঘুণেধরা চেতনার স্ট্যান্ডবাজদের মধ্যে যারা আমার কাজ সম্পর্কে জানেন তারা ধারে পাশেও আসে না। আমিও চেতনা ধারণ করি; বিশুদ্ধতা আমার মননে ও কর্মে রাখি। আমি প্রতিটি শব্দের শুদ্ধতা যাচাই করার পক্ষে। তাই অশুদ্ধতা ধারণ করা মানুষগুলি আমার শব্দাঘাতে ফালি ফালি হবার ভয়ে ধারে পাশে আসে না।

দ্বিধাহীনভাবে বলবো, সভ্য ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সম্ভবনাকে শাহবাগের ধ্বজাধারীরা গলা টিপে মারল। মানুষের মুক্তির পথ দুষ্কর হয়ে গেলো। কারণ, শুদ্ধ ও সৎ মানুষ আবার মুক্তির ডাক দিলেও মানুষ আস্থা পাবে না।

No comments:

Post a Comment