Thursday, January 29, 2015

এই কথাগুলো এলেবেলে

ফেসবুকে মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। অধিকাংশ মানুষই তার ভেতরের একান্ত মানুষটিকে এখানে মেলে ধরে। কাউকে জানতে চাইলে তার ফেসবুকের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখলে তাকে দারুণভাবে জানা যাবে। ফেসবুকের আঙিনায় একজন মানুষের মন ও মনের ভেতরটাকে যতোটা জানা যায় ততোটা হয়ত তার খুব কাছে থেকেও জানা যায় না। আমি নানান কারণেই ফেসবুকের অবদানকে খুব গুরুত্ব দেই। মানুষ তার মনের একান্ত অনুভূতিকে তুলে ধরার চমৎকার উপায় পেয়েছে; একারণেও আমি ফেসবুকের অবদানকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করতে চাই।

Thursday, January 15, 2015

মানুষের কথা

মানুষ এমনি এমনি অহংকার করে না। অহংকার করার মতো কিছু থাকলে তখনই করে। আমি অহংকারের বিরুদ্ধে না। অহংকার ততোটুকুই সমর্থনযোগ্য যা ব্যক্তির মানবিক গুণাবলীকে মলিন করবে না। সম্পদ ব্যক্তিকে তার অজান্তেই অহংকারী করে তোলে।

মানুষ দুই রকম সম্পদ নিয়ে অহংকার করে। এক হল তার অর্জন করা সম্পদ এবং দ্বিতীয়টা অর্জন না করে পাওয়া সম্পদ। যারা অর্জন করা সম্পদের অহংকার করে তাঁরাই উত্তম। এই অহংকার সৃষ্টিশীল। এরকম অহংকার ব্যক্তিকে আরও শক্তি দেয় এবং ব্যক্তি অর্জন করার জন্যে আরও বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। যারা অর্জন না করা সম্পদের অহংকার করে তারা নিতান্তই অধম। এই অহংকার সৃষ্টিশীল নয়। এই অহংকার ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করে রাখে।

Saturday, January 10, 2015

সুহৃদা

কিশোর বয়সের প্রেমের মতো তৃপ্তিদায়ক স্মৃতি আর কোনও সময়ের প্রেমে দেখিতে পাওয়া যায় না। ইহা আজীবন মনের অলিগলিতে চলাচল করিয়া আপনাকে আনমনা করিবে। আপনি মনে মনে ভাবিয়া যথেষ্ট তৃপ্তিও লইতে পারিবেন। এহেন স্মৃতি মুছিবার সাধ্য কাহারো নাই। আমিও কিশোর বয়সে এক সহপাঠীকে ভালোবাসিয়াছিলাম। তাহার কোমল কণ্ঠ, মৃদু পায়ে চলা এবং লাজুক অথচ দৃঢ় ভঙ্গিমায় নিজেকে উপস্থাপন করিবার সুনিপুণ দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করিয়া তুলিত। তাহাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইতাম। মুগ্ধতা লইয়াই আমি তুষ্ট থাকিতাম। তাহাকে ভালোবাসিবার মতো দুঃসাহস করিতাম না। কারণ আমাদিগের মধ্যে এক সামাজিক দেয়াল পথ আটকাইয়া ছিল। নিজ হইতে সে দেয়াল উপেক্ষা করিয়া এবং একতরফা তাহাকে ভালবাসিবার মতো বেগতিক মনের অধিকারী আমি ছিলাম না। এইরূপেই আমার দিন কাটিয়া যাইতেছিল। ইহার মধ্যেই লক্ষ্য করিলাম, আমার মনোহারিণী তাহার কোমল চাহনি দিয়া আমাকে কি যেন কহিতে চাহিতেছে। ইহা দেখিয়া আমার প্রেমিক হিয়া উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। আকাশের চন্দ্র হাতে পাইবার মতো আনন্দ আমার মনে ভর করিল। দিনরাত্রি তাহাকে লইয়া ভাবিতে থাকিলাম। তাহাকে লইয়া ভাবিতে কতো যে সুখ, তাহা ভাষায় প্রকাশ করিবার মতো নহে। সুযোগ পাইলেই নিজেকে আড়াল করিয়া আপন মনে তাহাকে লইয়া ভাবিতাম। আহা! ভাবনার সেই ক্ষণগুলি বড়োই মধুর!