Wednesday, August 26, 2015

Life and its lesson: গুড বয় ব্যাড বয়

কোনও এক বালিকা সারাদিন সময় অসময়ে মন খারাপ করে থাকে। তার কিছুই ভাল লাগে না। কোথায় যেন শূন্যতা। বালিকার একটা গুড বয় চাই। মনে প্রাণে সে গুড বয়ের স্বপ্ন দেখে, তবে খোঁজে না। বালিকা চায়, তার গুড বয় কথার ফুলঝুরি দিয়ে তাকে অবশ করে দিক। তাকে মাতাল করে উড়িয়ে নিয়ে যাক। তাকে পাবার জন্যে পাগল হোক।

এরপর, একদিন, সত্যি সত্যি এক গুড বয় এলো। গুড বয় বালিকাকে পাবার কথা জানালো। অতিকথা না বলে সরল ভাষায় বালিকাকে তার হয়ে যেতে বলল। বালিকা গুড বয় এর কথা শুনে খুব বেশি মুগ্ধ হতে পারলো না। গুড বয় তো গুড বয়ই। সে অতি কথা কেন বলবে? বালিকার সাড়া না পেয়ে, কথা না বাড়িয়ে, গুড বয় চলে গেল।

বালিকা গুড বয় এর এমন আচরণে মনে করলো, ওটা গুড বয় নয়। ও তাকে ভালোবাসায় ভুলিয়ে রাখতে পারবে না।
এরপর, একদিন, একটা ব্যাড বয় এলো। ব্যাড বয় বালিকাকে পাবার কথা জানালো। বালিকাকে পাবার জন্যে লক্ষ-কোটি কথা দিয়ে তাকে ভুলিয়ে ফেলল। বালিকা এবার সত্যি মাতাল হলো। বালিকা মনে করলো, এ-ই তো তার গুড বয়। যার জন্যে সে এতোদিন অপ্রক্ষায় ছিলো।

বালিকা কিছুদিন ব্যাড বয়ের সাথে স্বপ্নরাজ্যের রাজকুমারীর মতো দিনযাপন করলো। এরপর বালিকা বুঝতে পারলো, সে ভুল স্বপ্নে বিভোর ছিলো। তার চাওয়া ও পাওয়া ছিলো ভুলে ভরা। বালিকা এটাও বুঝে গেলো, তার তাজা ভালোবাসা দিয়ে দিয়েছে ভুল মানুষ কে।

জীবনের এই সত্য যখন পুরোপুরি বুঝলো, তখন সে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে, সে আর বালিকা নেই; মাঝবয়সী এক বঞ্চিতা নারী। মনে পড়ে গেল সেই অতিকথা না বলা ছেলেটির কথা। এখন তার গুড বয় চিনতে একটুও কষ্ট হবে না। কিন্তু সেই দিন সে আর কখনোই ফিরে পাবে না।

Friday, April 3, 2015

প্রথম আলো : পথচলা হোক হীনমন্যতা ছেড়ে শুদ্ধতার পথে

বর্ণিল বিয়ের পাতা
(দেখতে সমস্যা হলে ছবিতে ক্লিক করে বা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন)

এক সময় প্রথম আলো কে শুধু একটি পত্রিকা নয়, বরং, নীতি, আদর্শ, সততা, শুদ্ধতা ও চেতনার অপর নাম মনে করতাম। এই পত্রিকা নিয়ে আমি গর্ব করতাম। সেই ২০০৪সাল থেকে, যখন কিশোর ছিলাম, নানান সামাজিক অসংগতি ও সমস্যা নিয়ে চিঠিপত্র ও উপ-সম্পাদকীয় এর মতামত অংশে এই পত্রিকায় লিখেছিও। এরপর ধীরে ধীরে এই পত্রিকার অনাদর্শিক এবং অশুদ্ধ কাজ দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছি। এখন এই পত্রিকাকে যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলি। এই পত্রিকা আসলে গতানুগতিক সমাজেরই প্রতিচ্ছায়া। আগে একে অনন্য-মানবিক ও অনুকরণীয় ভাবতাম। সামাজিক রুগ্নতা তাড়াতে এটি এক অন্যতম শক্তি হিশেবে কাজ করবে। এই পত্রিকা মূলত আদর্শের কথা বলে আমার বা আমাদের আস্থাকে সম্বল করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের পথে চলেছে।

Thursday, January 29, 2015

এই কথাগুলো এলেবেলে

ফেসবুকে মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। অধিকাংশ মানুষই তার ভেতরের একান্ত মানুষটিকে এখানে মেলে ধরে। কাউকে জানতে চাইলে তার ফেসবুকের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখলে তাকে দারুণভাবে জানা যাবে। ফেসবুকের আঙিনায় একজন মানুষের মন ও মনের ভেতরটাকে যতোটা জানা যায় ততোটা হয়ত তার খুব কাছে থেকেও জানা যায় না। আমি নানান কারণেই ফেসবুকের অবদানকে খুব গুরুত্ব দেই। মানুষ তার মনের একান্ত অনুভূতিকে তুলে ধরার চমৎকার উপায় পেয়েছে; একারণেও আমি ফেসবুকের অবদানকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করতে চাই।

Thursday, January 15, 2015

মানুষের কথা

মানুষ এমনি এমনি অহংকার করে না। অহংকার করার মতো কিছু থাকলে তখনই করে। আমি অহংকারের বিরুদ্ধে না। অহংকার ততোটুকুই সমর্থনযোগ্য যা ব্যক্তির মানবিক গুণাবলীকে মলিন করবে না। সম্পদ ব্যক্তিকে তার অজান্তেই অহংকারী করে তোলে।

মানুষ দুই রকম সম্পদ নিয়ে অহংকার করে। এক হল তার অর্জন করা সম্পদ এবং দ্বিতীয়টা অর্জন না করে পাওয়া সম্পদ। যারা অর্জন করা সম্পদের অহংকার করে তাঁরাই উত্তম। এই অহংকার সৃষ্টিশীল। এরকম অহংকার ব্যক্তিকে আরও শক্তি দেয় এবং ব্যক্তি অর্জন করার জন্যে আরও বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। যারা অর্জন না করা সম্পদের অহংকার করে তারা নিতান্তই অধম। এই অহংকার সৃষ্টিশীল নয়। এই অহংকার ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করে রাখে।

Saturday, January 10, 2015

সুহৃদা

কিশোর বয়সের প্রেমের মতো তৃপ্তিদায়ক স্মৃতি আর কোনও সময়ের প্রেমে দেখিতে পাওয়া যায় না। ইহা আজীবন মনের অলিগলিতে চলাচল করিয়া আপনাকে আনমনা করিবে। আপনি মনে মনে ভাবিয়া যথেষ্ট তৃপ্তিও লইতে পারিবেন। এহেন স্মৃতি মুছিবার সাধ্য কাহারো নাই। আমিও কিশোর বয়সে এক সহপাঠীকে ভালোবাসিয়াছিলাম। তাহার কোমল কণ্ঠ, মৃদু পায়ে চলা এবং লাজুক অথচ দৃঢ় ভঙ্গিমায় নিজেকে উপস্থাপন করিবার সুনিপুণ দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করিয়া তুলিত। তাহাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইতাম। মুগ্ধতা লইয়াই আমি তুষ্ট থাকিতাম। তাহাকে ভালোবাসিবার মতো দুঃসাহস করিতাম না। কারণ আমাদিগের মধ্যে এক সামাজিক দেয়াল পথ আটকাইয়া ছিল। নিজ হইতে সে দেয়াল উপেক্ষা করিয়া এবং একতরফা তাহাকে ভালবাসিবার মতো বেগতিক মনের অধিকারী আমি ছিলাম না। এইরূপেই আমার দিন কাটিয়া যাইতেছিল। ইহার মধ্যেই লক্ষ্য করিলাম, আমার মনোহারিণী তাহার কোমল চাহনি দিয়া আমাকে কি যেন কহিতে চাহিতেছে। ইহা দেখিয়া আমার প্রেমিক হিয়া উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। আকাশের চন্দ্র হাতে পাইবার মতো আনন্দ আমার মনে ভর করিল। দিনরাত্রি তাহাকে লইয়া ভাবিতে থাকিলাম। তাহাকে লইয়া ভাবিতে কতো যে সুখ, তাহা ভাষায় প্রকাশ করিবার মতো নহে। সুযোগ পাইলেই নিজেকে আড়াল করিয়া আপন মনে তাহাকে লইয়া ভাবিতাম। আহা! ভাবনার সেই ক্ষণগুলি বড়োই মধুর!