Sunday, February 23, 2014

টেনশনে কুপোকাত

কোনও বিপদ সামনে আসতে পারে এই টেনশনে আমরা মন, শরীর ও হার্টের যতো ক্ষতি করি; ততো পরিমাণ ক্ষতি সেই বিপদ আসলেও হয় না। অনেক সময় সেই বিপদ আসেও না। কিন্তু, বিপদ আসার আগেই টেনশন করে নিজের বারোটা বাজাই। এটা বুঝতে পারলে সবাই টেনশন থেকে এক ধাক্কায় বের হতে পারতো। কিন্তু, সেই সময় আমরা এই শক্তি পাই না।

Friday, February 14, 2014

দায়

শিশু ও সাদা কাগজ একই রকম। একটি শিশু জন্মগ্রহণ করেই যেমন অপরাধীরূপে নিজেকে প্রকাশ করে না, তেমনি, নিখাত ভালোমানুষ হয়েও নিজেকে প্রকাশ করে না।

এই শিশু বেড়ে উঠে যখন অপরাধী হয়, তখন তার দায়ভার শুধুই কী তার? এই শিশু বেড়ে উঠে কখনো ভালো কাজও করে। তার ভালো কাজের জন্যে সে কি একাই মর্যাদার দাবীদার? খারাপ ও ভালো উভয়প্রকার কাজের জন্যেই একজন মানুষকে একা দায়ী বা সম্মানিত করা সুবিচার নয়। একজন মানুষকে যে বা যারা শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা দিয়ে খারাপ হতে উদ্বুদ্ধ করে, তাদেরও অপরাধী করা উচিত এবং যারা ভালো হতে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা দেয়, তাদের সম্মানিত করা উচিত।

Monday, February 10, 2014

বিল গেটস এর ভাবনার এক টুকরো

GRILLED CHICKEN-FREE STRIPS AND VEGETABLE SALAD WITH 
SUNFLOWER SEED PESTO
Picture source: www.fb.com/BillGates

বিল গেটস দীর্ঘদিন ধরে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানবকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বলতে গেলে বর্তমান সময়ে তিনি বেশিরভাগ সময় মানুষের কল্যাণের কাজেই ব্যয় করছেন। বিল গেটস, তাঁর ভাবনাগুলি দি গেটস নোটস নামক ওয়েবসাইটে নিয়মিত লিখে থাকেন। তাঁর ভাবনায় স্থান পেয়েছে নানান ধরণের কল্যাণমুলক বিষয়।

Sunday, February 2, 2014

মুগ্ধতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৩ বছর হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছেন। এতো সময় পরেও বাঙলা বানানের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনন্য। তাঁর লেখা থেকে শেখার শেষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাঁর প্রতিটি কাজ সুনিপুণ। শিল্প-সাহিত্যের যে শাখাতেই হাত বুলিয়েছেন, সোনা ফলেছে। আমার এ ক্ষুদ্র জীবনে রবীন্দ্রনাথের উপর থেকে মুগ্ধতা কাটানো মুশকিল।

রবীন্দ্রনাথ অনেক ছবি এঁকেছেন। রঙতুলিতেও তিনি পাণ্ডিত্যের ছাপ রেখে গেছেন। তিনি এই সময়ে বেঁচে থাকলে, হয়তো, ফটোগ্রাফিতেও হাত বুলাতেন। তিনি হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়ে বলতেন, দেখো বাছা, এভাবে ক্যামেরার চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখতে হয়।

আমাদের দুর্ভাগ্য!

Saturday, February 1, 2014

আমার কৈফিয়ত

আমার কোনও প্রত্যাশা নেই। তাই অভিযোগও সামান্য। যখন কেউ সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, তখনও অভিযোগ করতে জানি না। কারো প্রতিশ্রুতির বিপরীতে কিছুটা প্রত্যাশা জন্ম নেয়। সেই প্রত্যাশার ডালপালা মেলতে দেই না। কারণ, যে কেউ, যে কোনও সময়ে প্রতিশ্রুতি ভুলে যেতে পারে। যে মানুষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, সে তার লাভ-ক্ষতি, ভালো-মন্দ বিবেচনা করেই করে। আমি ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সম্মান করি। তাই, তাকে, তার মতো করেই ভাবতে দেই। তার ভালো লাগলে, আমাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার জন্যে নিজেও উদ্বুদ্ধ করি। অন্যের ভালোলাগাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের উপর বর্বর হই। হয়তো, আমার একটা মন আছে। তাই কখনো কষ্ট পাই। মাঝে মাঝে কিছুটা ক্ষেপে উঠি। আবার নিমিষেই নিজেকে সামলে নেই।