Thursday, January 30, 2014

আধুনিক মানুষই মানবিক মানুষ

পোশাক-পরিচ্ছদ কিংবা স্টাইলিশ ভঙ্গিতে কথা বলাই কী আধুনিকতা? সম্ভবত তা নয়। এটা আধুনিকতার অংশমাত্র। পুরোপুরি আধুনিকতা নয়।

পৃথিবীর বয়স বাড়ছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে পুরনো চিন্তাগুলি নতুন চিন্তার কাছে পরাজিত হচ্ছে। নতুন চিন্তাগুলি হয়তো তুমি বা আমি গ্রহণ করছি না। সেগুলি অন্যেরা গ্রহণ করে নিজেদের যখন আলোকিত করছে, তখন ধীরে ধীরে বাধ্য হচ্ছি গ্রহণ করতে। নিজেদের আধুনিক ভাবলে, নতুন চিন্তাকে স্বাগত জানাতে না পারার কারণে পোশাক-পরিচ্ছদে আধুনিক হলেও পিছিয়ে থাকছি। নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করে নিজেকে আলোকিত করাই আধুনিকতার প্রধান শর্ত।

Friday, January 24, 2014

অভাগা ও অভাগীদের কথা

যাদের বাবা নাই অথবা মা নাই এরকম কিছু অভাগাদের কথা কিছুদিন ধরে শুনে আসছি। তাদের কষ্টের কথা শোনার পর যতোদূর সম্ভব আমি মায়া করার চেষ্টা করি। শুধু আজকে নয়, অনেক আগে থেকেই এই চেষ্টাটা করি। তাদের জন্যে অনেককিছু করতে ইচ্ছা করে। যদি পারতাম, এই অভাগাদের পৃথিবীটা হাসিখুশিতে ভরে দিতাম। পারি কই?

আচ্ছা, যে ছেলে বা মেয়েটি আদর-ভালোবাসার অভাবে কষ্ট পায়, তাকে কী অন্য বাবা-মা আদর-ভালোবাসা দিয়ে দুঃখ ভুলাতে পারে না? রক্তের বন্ধন থাকলেই আদর-ভালোবাসা দিতে হয়? রক্তের বন্ধন না থাকলেও কী করা যায় না?

Thursday, January 9, 2014

নির্বোধ নিঠুর

নির্বোধ নিঠুর

রুমন আনাম

তরু ও তিথি প্রেম করে। ভালোবাসার ঢেউয়ে তারা একে অন্যের মাঝে হারিয়ে যায়। কিছুদিন পর তারা বিয়ের কথা ভাবে। তিথির পরিবারের লোকজন রাজি হয় না। শেষে তিথি পালিয়ে তরুকে বিয়ে করে। তারা নিজেদের মতো সংসার সাজাতে থাকে। কিন্তু, তিথির পরিবার কিছুতেই মেনে নেয় না। তরুর কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে তিথির মা শুরু করেন নানান অপকৌশল। তিথির ভালোবাসা পেয়ে সে সব সহ্য করে। এভাবে বছর গড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মা তিথিকে বুঝাতে সক্ষম হয়, তরুকে তার ছেড়ে আসা দরকার। তিথি তার বাবা মায়ের কাছে ফেরত যায়। মেয়ের সাপোর্ট আদায় করার পর মা এবার তরুর কাছ থেকে তিথিকে দূরে সরানোর পথে আরও সক্রিয় হয়ে পথ হাঁটা শুরু করে। তিথির মা তরুর কাছে ডিভোর্স চায়। তরু তিথিকে অনেক ভালোবাসে। তাকে ছাড়া সে ভাবতে পারে না। সে কিছুতেই রাজি হয় না। তিথি বদলে যায়। সে এখন আর তরুকে ভালোবাসে না। তার মা অন্যকোনো নতুন স্বপ্ন তার ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই স্বপ্নের আশাতে সেও মুক্তি চায়। তরু তবু রাজি হয় না। এবার তিথিও মায়ের অপকৌশলে সমর্থন দিয়ে তরুকে ছাড়ার জন্যে সব করতে রাজি। তিথি একদিন তরুকে দেখতে চায়। তরু সব ভুলে শাহবাগ থেকে একগুচ্ছ ফুল কিনে দেখা করতে যায়। তরু অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তিথি "আসছি" বলেও আসে না। কিছু সময় পরে আসে পুলিশ। তরুকে থানায় নিয়ে যায়। তরুর হাতের ফুলগুলি দেখার সৌভাগ্য তিথির হয় না।

Sunday, January 5, 2014

স্বার্থ থাকুক, স্বার্থপরতা নয়

জীবনের দিনলিপিতে স্বার্থ এক নির্মম সত্য। যারা অন্যের ক্ষতি করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করে শুধু তারাই স্বার্থপর নয়; আমরা সবাই। স্বার্থের দুইটা শাখা হলো, প্রতিদান ও তৃপ্তি সন্ধান করা। আমরা সবাই স্বার্থসন্ধানী। মরা গোলাপের চেয়ে তাজা গোলাপকে ভালোবাসি তার সৌন্দর্য ও সুবাস আছে বলে। কিংবা, কালো রমণীর চেয়ে ফর্সা রমণীকে ভালোবাসি তার উজ্জ্বল ত্বকের কারণেই। এগুলো তৃপ্তি উপভোগের স্বার্থ।

ভালোবাসাও স্বার্থের উপরে নয়। প্রেয়সীকে ভালোবাসার মধ্যেও স্বার্থ আছে। ভালোবেসে তার আনন্দিত মুখ দেখে শান্তি অনুভব করার স্বার্থ, তাকে কাছে পাবার স্বার্থ, অথবা ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা পাওয়ার স্বার্থ। আমরা অনাহারীকে খাবার দিয়েও কিছু খুঁজি। কেউ পরকালের ভালো কিছু পাবার স্বার্থ খুঁজি, কেউ সমাজে নাম ডাকের স্বার্থ খুঁজি, অথবা মনকে শান্তি দেওয়ার স্বার্থ। স্বার্থ আমাদের জীবনের সাথে আছে ও থাকবে।