Wednesday, November 27, 2013

সমকামিতা ও আমাদের সমাজ

সমকামিতা হল সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে প্রেম, প্রণয় ও যৌন সম্পর্কের নাম। অর্থাৎ পুরুষের সাথে পুরুষের বা নারীর সাথে নারীর প্রেমের সম্পর্ককে বোঝানো হয়। সমকামি পুরুষ যুগল "গে" ও নারী যুগল "লেসবিয়ান" নামে পরিচিত। এই নামকরণের পেছনেও আছে ইতিহাস। সংক্ষেপে বললে, প্রথম দিকে যখন গে শব্দটি ব্যবহার করা হয় তখন এটি হাসিখুশি অর্থে বুঝানো হতো। পরবর্তীতে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে লিসা বেন নামক একজন সম্পাদক এটি প্রথম ব্যবহার করেন। এরপর থেকে পুরুষদের সমকামিতার এই নামকরণ শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা পায়।

Tuesday, November 12, 2013

রবীন্দ্রনাথের ফ্যাশন ও স্টাইল

রবীন্দ্রনাথের ফ্যাশন : পরিপাটি সাজগোজে তাঁর তুলনা হয় না

রবীন্দ্রনাথের ফ্যাশন ভাবনা জানতে গেলে মুগ্ধ হতে হয়লেখক হিশেবে রবীন্দ্রনাথ যেমন রুচিশীল ও আধুনিক; তেমনি ফ্যাশনেও অসামান্যনতুন নতুন ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করে নিজে পরে হলেও তিনি ফ্যাশনেও খানিক অবদান রেখে গেছেন বলে আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথ শুধু একা নন, ফ্যাশনের দিক থেকে পুরো ঠাকুরবাড়ি ছিল সমান্তরালভাবে অন্যন্য আধুনিক, সচেতন ও রুচিশীল

আমাদের আজকের সময়ে ফ্যাশনের ধরনধারণ, উপস্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ, ফ্যাশন ডিজাইনারা অথবা গনমাধ্যমসেসময় কোনো ফ্যাশন হাউজ ছিল নাছিল ঠাকুরবাড়িঠাকুরবাড়ি মানেই ফ্যাশনে ও পোশাকে নিত্যনতুন বাহারের সমারোহসেই ফ্যাশন প্রভাব বিস্তার করেছে সমস্ত বাঙালির মধ্যেআমাদের এই সময়ে ঠাকুরবাড়ির ফ্যাশনগুলি ধরে রাখতে না পারলেও কিছু এখনো নিত্যদিনের সঙ্গীসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী ফ্যাশনের দিক থেকে ঠাকুরবাড়ির নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী মনের ছিলেনতিনি প্রথম চালু করেন শাড়ির সাথে ব্লাউজের ব্যবহার এবং কুঁচি করে শাড়ি পড়ার চলঅন্যসব বাদ দিলেও এই দুটি এখনো বাঙালি নারীর নিত্যদিনের সঙ্গী

Tuesday, November 5, 2013

চলো, জন্মের সাক্ষর রেখে ভালোবাসাময়ও মানবিক হই

আমাদের জীবনটা কেমন যেন প্রশ্নহীনভাবে গতানুগতিক। প্রশ্নহীন এই জন্যেই যে, আমরা কেন বাঁচি, কেন চলি, কি করি বা যা করি তা করা ঠিক কিনা এই নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে না। ফলে আমরা অধিকাংশরা প্রতিশ্রুতিহীন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। জীবনের স্রোত আমাদের যেদিকে বয়ে নিয়ে চলেছে, সেদিকেই যাচ্ছি। মাঝে মাঝে কিছুটা এদিক সেদিক করে জীবন পথের দিক পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও বিস্তর পরিবর্তন ঘটিয়ে সার্থক ও মানবিক জীবনের দিকে ফিরে যাচ্ছি না। আমরা সবাই যেন আটপৌরে জীবনের মধ্যেই বন্দী। এই ধরণের জীবনকে আমরা সোজা ভাষায় বলি, খাওয়া, ঘুমানো, মল-মুত্র ত্যাগ করা, বাচ্চা জন্ম দেওয়া এবং শেষে মরে যাওয়ার জীবন।

Friday, October 25, 2013

ছড়ায় ছড়ায় বৃষ্টির কাছে আকুতি :: রুমন আনাম

ছড়ায় ছড়ায় বৃষ্টির কাছে আকুতি


আয় বৃষ্টি জোরে আয়
সব গোঁয়ারের মাথায় পর
গোঁয়ারগুলার মাথার ভূত
ধুয়ে মুছে সাফ কর।

আয় বৃষ্টি হটাৎ আয়
যখন তাদের বাড়ে বাড়
মুণ্ডুহীন পাগলাদের
দমকা ঝড়ের দে আছাড়।

ওরা দেখ মাথা খায়
দেশ খেতে চায়, খাবে মান
থাক বৃষ্টি সাথে থাক
সাথে থেকে বাঁচা প্রাণ।

বৃষ্টিতে স্বস্তি! আজকের বৃষ্টির কারণে রাজনীতি করা লোকগুলা মনের মতো গুণ্ডামি করতে পারছে না। এতে আমরা কিছুটা শান্তিতে থাকতে পারবো। তাদের স্বার্থেই তারা আন্দোলন করে বা অন্যকে আন্দোলন করতে দিতে চায় না। এইসব ভুজুং ভাজং আমাদের জন্যে নয়। ওহে প্রকৃতি, এভাবে সহায় হও।

Thursday, October 10, 2013

গ্রামীণ ব্যাংক এনজিও নয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান

গ্রামীণ ব্যাংক

গ্রামীণ ব্যাংক এনজিও নয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান

গ্রামীণ ব্যাংক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলেও একে অনেকেই এনজিও বলছেন। বর্তমানে সাদাচোখে এনজিও বলতে যে ফরম্যাট বোঝায় তার মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক নীতিগতভাবেই পড়ে না। আমরা দেখছি দেশি-বিদেশি অনেক এনজিও আছে যারা সম্পূর্ন অলাভজনক কাজকর্ম করে থাকে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের এমন কোনো আহামরি অলাভজনক কার্যক্রম নেই যাতে একে এনজিওর মর্যদা দেওয়া যেতে পারে। গ্রামীণ ব্যাংক যদি তার কাগজপত্রে একে এনজিও বলে, তবে তার আইনগত ভিত্তি থাকলেও নীতিগত ভিত্তি নেই।

Friday, October 4, 2013

ছোটগল্প :: রাস্তা

রুমন আনাম এর ছোটগল্প

রাস্তা



স্বভাবের দিক থেকে আবুল মিয়া খুব সাধসিধে। বুদ্ধিতেও খুব ঢিলা প্রকৃতির। কাজকর্মে ছন্দ নাই। এই অল্প বুদ্ধির মানুষটাকে সবাই পাগল বলে। রাস্তায় চলার সময় দুষ্টু বুদ্ধির লোকেরা তাকে খোঁচা দেয়। সে ক্ষেপে যায়। তার ক্ষেপে যাওয়া দেখে ওরা আনন্দ পায়। খানিক বাদে শান্ত হয়ে আবারো পথ চলতে থাকে। বিয়ের পর আবুল মিয়ার চলাফেরাতে গা বাঁচিয়ে চলা লক্ষ করা গেলো। যে মেয়েটিকে সে বিয়ে করলো, সে অতিশয় বুদ্ধিমতি মেয়ে না হলেও আবুল মিয়ার অল্পবুদ্ধি দেখে সে যেন চতুর এক নারীর রূপ নিল। আবুল মিয়া ভুল করতে পারে বলে তার চলাফেরা আবুল মিয়ার বউ নিয়ন্ত্রণ করতে লাগলো। এরপর থেকে আবুল মিয়ার ভুল অনেক কমে গেলো। সে গোছালো মানুষ হয়ে না উঠলেও তার মধ্যে একটা সাবধানী ভাব দেখা গেলো। আবুল মিয়ার বউয়ের এই অবস্থান দেখে অনেকেই তাকে চালু মেয়ে বলে আখ্যা দিলো। তারা এটাকে ভালোভাবে নিলো না। কেউ কেউ আবুল মিয়ার বউকে সাধুবাদ জানালো। তারা মনে করলো, "আবুল মিয়া পাগল মানুষ, বউ এমন না হলে সংসার টিকবে না।"

Wednesday, September 11, 2013

শিল্পীর দায়বদ্ধতা এবং ঠেলাঠেলি করে শিল্পী হওয়া

এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে আমার একটা কর্ম আছে। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষের আনাগোনা। তো, কলকাতার এক তরুণ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী নিজের গাওয়া গান নেটে এতোটা ছড়াতে চান যে, এই প্রদর্শনবাদী মানসিকতা দেখে তাঁকে ভীষণ দরিদ্র মনে হয়। নিজের বদনখানা সবখানে জুড়ে দেন। এতে তাঁকে আরও অগ্রহণযোগ্য মনে হয়। ফলে, আমি তাঁর কোন গান শেয়ার দেই না।

Monday, September 9, 2013

আমরা কি আসলেই আলাদা (different)?

আমাদের এই জীবনকে ছোট অথবা বড়ো যেটাই বলি না কেন, নিজেকে নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। আমরা বেশিরভাগ মানুষ নিজেদেরকে অন্য সবার থেকে আলাদা (Different) ভাবনার বলে দাবী করতে পছন্দ করি। আমরা কি সত্যি আলাদা ভাবনার? আমরা কি আমাদের নিজের তৈরি ভাবনার চর্চা করি?

প্রকৃত অর্থে আমরা যাকে নিজের ভাবনা বলি, তাও এই সমাজ থেকে নেওয়া। মূলত সমাজের বহু ভাবনা বা পন্থাগুলি থেকে যেটা বেশি পছন্দ হয়, সেটা আমরা গ্রহণ করি মাত্র। এই ভাবনাগুলি কেউ না কেউ উদ্ভাবন করেছে বলেই আমরা পেয়েছি। সুতরাং এটাই নিজের ভাবনা নয়। আর, একেবারে নিজের সৃষ্টি করা ভাবনায় চলা সম্ভব কি না, সেটা বলা কঠিন।

Wednesday, August 14, 2013

শিশুতোষ ছড়া : দাদু মাস্টার

দাদু মাস্টার

রুমন আনাম

একচোখ ঘোলাটে
একচোখ ট্যাঁরা
টাকপড়া মাথাটা
মনে হয় ন্যাড়া।

গোল গোল ভুঁড়িটা
মনে হয় ঢোল
রোজ খান দুবেলা
মুরগির ঝোল।

নাক ডাকে ঘুমালে
ঘড় ঘড় ঘড়
সারাদিন চেঁচাবে
পড় পড় পড়।

পড়া হলে রাখত
সব আবদার
এই হলো আমাদের

দাদু মাস্টার।

Monday, July 15, 2013

ছড়া : ছাগলটা পাগল


ছাগলটা পাগল


রুমন আনাম


ছাগলটা পাকা ছিল
দুটো দাঁত বাঁকা ছিল
বয়সটা ছিল তার প্রায় একশত
ছাগলটা নাচত পাগলের মতো।

ছাগলের দাড়ি আছে
চাটগাঁয় বাড়ি আছে
নারীদের উপরে তার ক্ষোভ যতো
ছাগলটা নাচত পাগলের মতো।

১৭.০৭.২০১৩




আজ গণেশ উল্টে গেলো

কোনও ব্যক্তির পজিটিভ চিন্তাকে আরও বেশি পজিটিভ দিকে টার্ন করাতে আমি তার নেগেটিভ সাইড নিয়ে একটুও কথা বলি না। তাকে এটা বুঝাই যে, তার পজিটিভ সাইডগুলি নেগেটিভ সাইডের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা সব মানুষের সাথে করি না। খুব কাছের যারা তাদের কারো কারো সাথে এরকম করি। এতে যা হয়, ওই ব্যক্তির পজিটিভ মন পজিটিভ হতে সহযোগিতা পায়। সে মানুষটি সম্পূর্ণ পজিটিভ হতে না পারলেও অন্তত আমার সাথে পজিটিভ বা সুন্দর আচরণ করতে থাকে। এতে সম্পর্ক সুন্দর হয়। আর আমি এটাও মনে করি, এভাবে চলতে থাকলে তার পজিটিভ সাইডগুলি নেগেটিভ সাইডের থেকে শক্তিশালী হবে।

কিন্তু, আজ খেয়াল করলাম, গণেশ উল্টে গেছে। আজ বেশ বড়ো ধরণের উল্টো ফল পেলাম।

Sunday, June 2, 2013

শাহবাগ আন্দোলনের অশুদ্ধ চেতনাগুলি আমাদের থমকে দিলো

শাহবাগের মৃতপ্রায় আন্দোলন নিয়ে কিছু মূলের কথা


চেতনার এই আন্দোলন আমাদের কলঙ্গমুক্ত ও শুদ্ধ সমাজের স্বপ্নে মাতোয়ারা করেছিলো। আমরা হাতে হাত ধরে এগিয়ে গেছি। আমাদের সম্মিলিত শক্তি দেখে আশায় বুক বেঁধেছি। বাঙালির জাতীয়তাবাদ নিয়ে হতাশা দূর হতে শুরু করেছিলো। মনে হয়েছে, আমরা শুধু ঘুমিয়ে থাকি না, একত্রিতও হতে জানি।

Saturday, May 25, 2013

এমপি-মন্ত্রীদের ফটোগ্রাফারের মূল্যায়ন


ফটোগ্রাফি সবারই লাগে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার লাগে। এমন কি যে মোল্লারা ফটোগ্রাফিকে দুই চোখে দেখতে পারে না তাদেরও লাগে।

আমাদের মন্ত্রী-এমপি সাহেবদেরও ফটোগ্রাফি লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মন্ত্রি-এমপি সাহেবরা যে ফটোগ্রাফার নিয়োগ দেন তাঁর মেধাস্বত্ব বিষয়টা মানেন না। তেনারা মনে করেন, "টাকা দিয়ে ফটোগ্রাফার রাখছি আবার একটা ৫লাখ টাকার ক্যামেরাও কিনে দিছি। মেধাস্বত্ত্ব ফেধাস্বত্ত্ব কিসের?" মেধাস্বত্ত্ব না মানলেও অনেকে এতো আক্ষেপ করবেন না। অবশ্য, অনেকে এটা জানেই না। কিন্তু মন্ত্রি-এমপি সাহেবরা যখন বাহারি ছবিগুলা পাবলিশ করেন তখন ফটোগ্রাফারের নামটাও উল্লেখ করেন না। একজন ক্রিয়েটিভ লোকের এই মূল্যায়নটুকু না করা কিছুতেই মানা যায় না।

Tuesday, April 30, 2013

আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা

আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা

ভাবনাকে প্রসারিত করতে হবে


আমরা কেউ কেউ বলি, "বাঙালি জাতি খুব খারাপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আর এই জন্যে আমরা সভ্য হতে পারছি না।"


এই কথা শুনে অনেকেই ঝাপ দিয়ে উঠে বলে, "বাঙালি অনেক ভালো। বাংলাদেশ সোনার দেশ।" তার মানে হচ্ছে, বাঙালির জাতি ও বাংলাদেশ অনেক ভালো।

Monday, April 8, 2013

এদেশের মন, এদেশের ভাগ্য

এদেশে মিথ্যুককে মিথ্যুক বললে সে কষ্ট না পেয়ে তোমার শত্রু হবে
এদেশে অপরাধীকে অপরাধী বললে সে অনুতপ্ত না হয়ে তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে
এদেশে নিষ্ঠুরকে নিষ্ঠুর বললে লজ্জিত না হয়ে তোমার পেছনে লাগবে
এদেশে ঘুষখোরকে ঘুষখোর বললে সে ভালো হবার চেষ্টা না করে তোমাকে লাঞ্চিত করতে চাইবে
এদেশে অসামাজিককে অসামাজিক বললে সে সামাজিক না হয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করবে
এদেশে পাগলকে পাগল বললে সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্যে না ভেবে তোমাকে গালি দিবে
এদেশে ধর্মান্ধ অমানবিককে ধর্মান্ধ অমানবিক বললে সে তোমাকে কৌশলে নির্যাতন করবে
এদেশে ধ্বজভঙ্গ স্বামীকে ধ্বজভঙ্গ বললে সে মেনে না নিয়ে সন্তান কিভাবে হল তার ব্যাখ্যা দিবে
এদেশে ভুল করা মানুষের ভুল ধরলে 'সরি' না বলে ইনিয়ে বিনিয়ে ব্যাখ্যা দিতে চাইবে

এতো গলদ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো কিভাবে? এর কারণও একই, এতো গলদ থাকলেও আমরা তা স্বীকার করতে শিখি নি।

-রুমন আনাম

Wednesday, April 3, 2013

আপনারা আমাদের মা হোন


দুই নারীকে মায়ের আসনে দেখতে চাই


নারীরা স্নেহ ও মমতায় পুরুষের থেকে অনেক উপরে। নারীর স্নেহ, ত্যাগ, ধৈর্য, ক্ষমা, কিংবা  ভালোবাসার কারণে আজো আমরা নষ্ট হয়ে যাই নি। অর্থাৎ নারী আমাদের সবাইকে আগলে রেখেছে। আর তাই নারী মানেই এক একটি মা। এক একটি বটবৃক্ষ।


বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলের প্রধানগণ নারী। আপনাদের দুই নারীর কাছে একটা ছোট্ট বিষয় তুলে ধরতে চাই। আপনাদের দুইজনের বয়স এমন এক পর্যায়ে যে, আপনারা এখন কারো মা, কারো দাদী, কারো নানি কিংবা কারো বড়ো বোনের মতো। আপনাদের দুই জনের চেয়ে বেশি বয়সের মানুষ আমাদের দেশে কম। অর্থাৎ আপনাদের দুই জনের কাছে আমাদের বেশিরভাগ বাংলাদেশি হবে আদরের, ভালোবাসার ও স্নেহের। আপনারা আমাদের দেশের অভিভাবক থেকেছেন অনেক বছর। আপনারা চাইলে আপনাদের নারীত্ব দিয়ে আমাদের আগলে রাখতে পারতেন। আমাদের ভালোমন্দ, আমাদের সুখ-দুঃখ, আমাদের দাবী বা আবদার কখনো মায়ের মতো করে, কখনো বড়ো বোনের মতো করে, কখনো অভিভাবকের মতো করে পূরণ করে আমাদের সবার চোখের মণি হতে পারতেন। আপনারা দুজনই "মা" উপাধি পেতে পারতেন। আমরাও আপনাদের মায়ের মতো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিয়ে মাথায় করে রাখতাম। আপনাদের কেউ কটু কথা বললে আমরা সন্তানের মতো সামনে দাঁড়িয়ে দাঁতভাঙা জবাব দিতাম।

Thursday, March 28, 2013

বাঁধা দিলেই বিপত্তি বাড়ে

শুধু শুধু সাধু সেজে অন্যদের নির্যাতন করার মানে হয় না
খবর:
"সুস্মিতাকে (১৮) নিয়ে ঘরে ঢুকলে স্থানীয় কিছু লোক আমাদের দেখে ফেলে এবং তারা দরজা ধাক্কাতে থাকে। ভয়ে আমি বাইরে না বের হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করি এবং টুকরো টুকরো করে জানালা দিয়ে ফেলে দেই।” রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুস্মিতা হত্যা ঘটনার বর্ণনা দেন হত্যাকারী সাইদুজ্জামান বাচ্চু (২৮)।"

ভেবে দেখা
সমাজের অতিউৎসাহী যেসব লোকেরা ছেলেমেয়েদের মেলামেশ
া দুচোখে বরদাশত করতে পারে না, তারা কি এমন মেলামেশা করে না? নাকি যারা যারা বাধা দেয় তারা তারা নপুংসুক? কোনও মেয়ে আর ছেলে ঘরে ঢুকলেই তাদের ধরা আর মারার মহান দায়িত্ব পড়ে সমাজের নপুংসুকদের। যারা এই মহান দায়িত্ব পালন করেন তারা নিজেদের নপুংসুক ঘোষণা দিয়ে যান।

Wednesday, March 6, 2013

মুক্তগণমাধ্যমে আমাদের দায়বদ্ধতা



প্রযুক্তির কল্যাণে এখন সবার হাতেই গণমাধ্যম। অর্থাৎ কারো নিজস্ব চিন্তা চেতনা প্রকাশের জন্যে প্রচলিত গণমাধ্যমের কাছে এখন ঘ্যান ঘ্যান না করলেও চলে। আমরা চাইলে নিজেরাই নিজেদের চিন্তা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। প্রযুক্তির অবদান আমাদেরকে পূর্বের থেকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে।

উন্মুক্ত গণমাধ্যম ব্যবহারে যেমন কল্যাণকর দিক আছে তেমনি আছে কিছু বিপর্যয়ের সম্ভবনা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কিসের বিপর্যয়? যে যার মতো লিখবে বা নিজের ভাবনা প্রকাশ করবে তাতে বিপর্যয়ের কি আছে? আছে।

Sunday, March 3, 2013

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শব্দদুষণ


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শব্দদুষণ


আমাদের দেশে পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে এমনিতেই শব্দ দুষণ হয়। অনেক অসচেতন চালক হর্ণ না বাজিয়ে যেন একমুহূর্তের জন্যেও গাড়ি চালাতে পারেন না। জনসচেতনতা ও আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এই মহা সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।

Saturday, March 2, 2013

রুমন আনামের ছড়া বাবুর বিচার

বাবুর বিচার

রুমন আনাম


দেওয়ান বাড়ির বিচার হবে
দোষ আছে এক তার,
ভয় কিসে আর এই বিচারে
মোড়ল বাবুর ভার।

একটু ভেবে দেখা

আমাদের প্রাণের আন্দোলন নিয়ে একটু সরল ভাবনা

একটু ভেবে দেখা

রুমন আনাম

প্রজন্মের এই আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে। আমরা পথে নেমেছি রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে। আমরা পথে নেমেছি সঠিক বিচারের দাবীতে। আমরা নিজেরা তাদের হত্যা করতে পথে নামি নি। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, খুনোখুনি ওই অমানুষদের কাজ হলেও আমাদের না। আমরা সভ্য সমাজের স্বপ্ন দেখি। আমরা সুন্দর সোনার বাঙলা গড়ার স্বপ্ন বুকে লালন করি।

Monday, February 25, 2013

আমি সেই নারীকে চাই : মানুষরূপী নারী

যে নারী আমাকে করবে পূর্ণ ও ঋদ্ধ

প্রতিটি মানুষ বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গ পাবার জন্যে অধীর। পুরুষের বুকে নারীকে পাবার আকুলতা যেমন থাকে, তেমনি পুরুষকে পাবার জন্যে নারীর বুকেও থাকে আকুলতা। নারী-পুরুষের এই চাওয়া কাম থেকেই বেশি আসে। এটা অস্বাভাবিক নয়। এই সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই আজ পৃথিবী ফুলে ফলে ভরে উঠেছে। তাই কাম কখনোই অসুন্দর নয়। এটা যেমন সুন্দর, তেমনি, এটা একমাত্র নয়।

Friday, February 22, 2013

এই শঙ্কার সমাজ আমাদের লজ্জার কারণ নয় কি?

আমার ফেসবুকের বাংলাদেশি বন্ধুদের মধ্যে যারা ইউরোপ-আমেরিকাতে থাকে, তারা প্রায় প্রায় বাংলাদেশে এসে নিরপত্তাজনিত শঙ্কার কথা বলে। তাদের মতে, ওখানে একটা ২০-২২ বছরের মেয়ে একা গাড়ি নিয়ে পুরো দেশ ধেই ধেই করে ঘুরে বেড়ালেও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করে না। সেটা হোক দিনে বা রাতে। সে সমস্যায় পড়লে তাকে কেউ বিপদে ফেলে না। একজন আরেকজনকে সাহায্য

Tuesday, February 19, 2013

শুধুমাত্র সৎ মানুষের মূল্যায়ন করে সমাজটাকে সুন্দর করতে পারি

যে মানুষ নানান সংকটের মধ্যে দিয়ে
পথ চলেও সৎ থাকে, সে মানুষই নিখাত সৎ

সততার মূল্যায়ন হলেই শুদ্ধ সমাজ আসবে


অর্থ ও ক্ষমতা দিয়ে একজন মানুষের সততা সবথেকে বেশি মাপা যায়। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থ ও ক্ষমতার উল্লেখ করেই মানুষের সততা ও অসততা মেপে থাকি। কেউ টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিলে তাকে আমরা যেমন তাকে অসৎ বলি তেমনি কেউ টাকা ধার নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দিলে আমরা তাকে সৎ মানুষ বলি। সততার সাথে অর্থ ও ক্ষমতার কথা সবথেকে বেশি আসে।

Monday, February 18, 2013

মিলমিশের আগে চাই সততা


মিলমিশের আগে চাই সততা


লেখার প্রথমেই হুমায়ূন আহমেদ এর মতের বিরোধিতা করছি। তিনি ২৬জুলাই এর একটি জাতীয় দৈনিকে এক লেখায় পারিবারিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। যেখানে মাজারে গিয়ে ঔ দলের শিশু রিসাদ আল্লাহপাকের কাছে একটি নীল রংয়ের গাড়ি চায় এবং সে পেয়েও যায়। তাকে বলা হয়েছে যে, সে যা চাইবে তাই পাবে। সেদিন হুমায়ূন আহমেদ নিজে অন্য কিছু চেয়েছেন। তিনি যা চেয়েছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘‘হে আল্লাহপাক তুমি আমাদের দেশের দুই নেত্রীর মধ্যে মিলমিশ করে দাও। দেশের মানুষ এটা চাচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে না। তুমি চাইলেই হবে।’’ এবং সেই লেখায় তিনি দেশের সবাইকে নিয়ে একটা প্রার্থনা দিবসেরও আয়োজন করতে চাওয়ার কথা বলেছেন।

Saturday, February 16, 2013

চলতি পথে


কয়েকদিন আগে একজনের সাথে পরিচিত হলাম। কিছু সময় পর স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কথা শুরু হলো। এরপর শাহবাগের প্রজন্মের আন্দোলন নিয়ে কথা উঠলো। আমরা তখন চা হাতে নিয়ে কথা বলছি। কথা বলা বেশ জমে উঠছে বলে চায়ে ঠিকমতো চুমুক দেওয়া হচ্ছে না। কথার শুরুতেই আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম, ইনি কোন ধরণের রাজনীতির সমর্থক। জামাত-শিবিরের প্রতি সমর্থন থাকলে এই বিষয় নিয়ে আর আগাবো না ধরে নিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার রাজনৈতিক দর্শন টা জানতে পারি কি?

Friday, February 15, 2013

একটি সহজ অংক

এরকম প্রতারণা পদে পদে

আমাদের দেশে মুঠোফোন সেবাদাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো কোম্পানী গ্রামীণফোনের আমি একজন গ্রাহক। আমাদের দেশে এই কোম্পানীটি অন্যান্য মুঠোফোন সেবাদাতা কোম্পনীর থেকে ভালো(?) সেবা দেন বলে সবসময়ই নিজেরা বলে থাকে এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। সেদিকে না গিয়ে আমরা শুধু একটা সহজ হিসাব করবো আজ। গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা এখন ২.৮৭ কোটি (সুত্র: ডেইলি স্টার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০)।-প্রতিদিন এই পরিমাণ গ্রাহকের অনেকেই নানা প্রয়োজনে গ্রামীণফোনের কলসেন্টারে কল করে কথা বলেন। কখনো গ্রামীণফোনসৃষ্ট সমস্যার সমাধান নিতেও গ্রাহক কল করতে ব্যাধ্য হন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হোক


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির যে প্রভাব পড়ে তাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতভাবে বিঘ্নিত হয়। মূলত আমাদের দেশে আগে জাতীয় সরকার নির্বাচন এবং পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কারনেই এই প্রভাব পরে এবং প্রভাব পড়ার সুযোগ সৃষ্টি থাকে। এই প্রভাব পড়ার ব্যাপারটিও ঘটতো না যদি নির্বাচিত জাতীয় সরকারের মনে নিরপেক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং স্বচ্ছ মানসিকতা থাকতো। যেহেতু নির্বাচিত হবার পর জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা চলে আসে তাই এর অপপ্রয়োগ করতে তারা ছাড়েন না। প্রভাবমুক্ত করতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে পারলেই এর একটা সমাধা হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের যথার্থ মূল্যায়ন প্রয়োজন


আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা আমাদের অহংকার। বাংলার এইসব বীর সনত্মানদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। বহু মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ নিয়ে যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁরা কি আজ মর্যাদার সাথে বাঁচতে পারছেন?

ফেলে আসা স্মৃতি ও নির্মাতা অমিতাভ রেজার কাছে প্রশ্ন

আমি (রুমন আনাম) ও অমিতাভ রেজা

৬বছর আগের এই ছবিটা আজ খুঁজে পেলাম। ছবিতে আমি ও অমিতাভ রেজা। পেছনে যিনি আছেন, তিনি আমার সাথে কর্মশালা করেছিলেন। নাম মনে নেই। এখনকার মতো তখনো অমিতাভ রেজা বিজ্ঞাপন বানিয়ে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন।

শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের একটা সংগঠন এই কর্মশালার আয়োজন করেছিলো। প্রতিষ্ঠানটির নাম মনে পড়ছে না। কর্মশালাটি ছিল ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রের উপর। অমিতাভ রেজা ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক ভালো জানেন। ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র সম্পর্কে আমার আগ্রহ ও নান্দনিক ধারণা অমিতাভ রেজার মাধ্যমে। অমিতাভ রেজার সাথে বসে আমরা দেখেছিলাম "অযান্ত্রিক" সিনেমাটি।

Thursday, February 14, 2013

সবার মন বুঝতে পারার মতো রাষ্ট্রপ্রধান চাই

একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ভিন্ন ভিন্ন বয়সের মানুষের মন বোঝার যোগ্যতা থাকলে তবেই তিনি প্রকৃত রাষ্ট্রপ্রধান। আমাদের সমাজ যেমন বুড়োদের দ্বারা শাসিত হচ্ছে, তেমনি আমাদের রাষ্ট্রও। একজন বুড়ো মানুষের দ্বারা স্বাভাবিকভাবেই যেমন তরুণদের মনের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া কষ্টকর, তেমনি একটি শিশুর মনের চাহিদাকেও গুরুত্ব দেওয়া কষ্টকর। কিন্তু সেই সংকীর্ণতা থেকে উপরে উঠে তরুণ, শিশু, ভবঘুরে, মজুর, জেলে, ভিক্ষুকসহ সর্ব শ্রেণির মানুষের মনের ভাব ও তাদের চাহিদা অনুভব করতে পারা সম্ভব। প্রয়োজন সব শ্রেণির মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে গিয়ে তাদের মতো করে ভাবতে শেখা ও ভাবতে পারা। পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের চাহিদা ও কথা বোঝার জন্যে প্রচুর পড়াশোনা ও তা চর্চারও বিকল্প নেই।

Wednesday, February 13, 2013

রবার্ট ইঙ্গারসল এর উপলব্ধির কথা

যেদিন নিশ্চিতভাবে বুঝে গেলাম আমার চারপাশের সবকিছুই প্রাকৃতিক, সকল দেবতা, অপদেবতা কিংবা ঈশ্বর মানুষের সৃষ্ট পৌরাণিক চরিত্র ব্যতীত কিছুই নন, সেদিন সত্যিকারের স্বাধীনতার তীব্র আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলো আমার মন, শরীরের প্রতিটি কণা, রক্তবিন্দু, ইন্দ্রিয়। আমাকে সীমাবদ্ধ করে রাখা চার দেয়াল টুকরা টুকরা হয়ে মিশে গেলো ধুলোয়, আলোর স্রোতে আলোকিত হয়ে উঠলো আমার অন্ধকূপের প্রতিটি কোণ। সেদিন থেকে আমি কারও চাকর, সেবক বা বান্দা নই। এই পৃথিবীতে আমার কোনো মনিব নেই, আমার কোনো মনিব নেই এই সীমাহীন মহাবিশ্বেও। আমি স্বাধীন, মুক্ত- চিন্তা করতে, চিন্তারাজি প্রকাশে, আদর্শ নির্ধারণে, ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গী করে নিজের মতো বাঁচতে। আমি স্বাধীন আমার মানসিক এবং শারীরিক ক্ষমতা ব্যবহারে, প্রতিটি ইন্দ্রিয় দিয়ে কল্পনার ডানা মেলে উড়ে যেতে, নিজের মতো স্বপ্ন দেখতে, আশা করতে। আমি স্বাধীন নিজের মতো ভাবতে, আমি স্বাধীন নির্দয়, উগ্র ধর্মকে অস্বীকার করতে, আমি স্বাধীন ছুড়ে ফেলে দিতে অসভ্য, মূর্খের 'অলৌকিক' গ্রন্থসমূহকে, এই গ্রন্থসমূহকে পুঁজি করে করা অসংখ্য নিষ্ঠুরতাকে।

মুক্তিযোদ্ধা গিলবার্ট নির্মল বাইন এর প্রশ্ন

মুক্তিযোদ্ধা গিলবার্ট নির্মল বাইন রাজাকারদের ফাঁসি নিয়ে তাঁর অভিমত জানিয়েছিলেন ফেসবুকে। সেখান থেকে ভালোলাগা এই লেখাটি পোস্ট করছি।

বাংলাদেশে শিশুশিক্ষার বাণিজ্যে প্রকৃত শিক্ষা-সংকট

বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেনের শিশুরা বইয়ের বোঝা বয়ে চলে

শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা হয় তা আমরা সবাই প্রায় জানি। কিন্তু শিশু শিক্ষার মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও যে নির্মম ব্যবসা ও শিক্ষার নামে নির্যাতন হয়, তা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। অথবা বুঝলেও কিছু করতে পারছি না।

এখন শিক্ষার সাথে যুক্ত হয়েছে বাবা মায়ের মর্যাদাবোধ ও সামাজিক জৌলুশ প্রকাশের হীন চেষ্টা। এই জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে আমাদের কোমলমতি শিশুরা। মাঝখানে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।

ব্যক্তিত্বের লড়াই


ব্যক্তিত্বের লড়াই ও জীবন


ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ে জীবনের একান্ত চাওয়াগুলি দলিত ও বঞ্চিত হয়। কখনো কখনো একান্ত চাওয়াগুলি বেতাল হয়ে তার সব পাওনা আদায়ের জন্যে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এলেও
, বহুদিন ধরে চর্চা করা শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের কাছে সে পরাজিত হয়। ব্যক্তিত্বচর্চা করা মানুষের ব্যক্তিগত জীবন এভাবেই বঞ্চিত হয়।

Sunday, February 3, 2013

ফেসবুকে কিছু হিজিবিজি অভিজ্ঞতার একটি



প্রায় দুই বছর আগে এই লেখিকাকে (?) অ্যাড করার জন্যে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। তিনি কনফার্ম করার পর আমি ধন্যবাদ দিয়ে মেসেজ দিয়েছিলাম। তিনি কোনো উত্তর লেখেন নি। এর মধ্যে আমি ইনাকে আমার বন্ধু তালিকা থেকে রিমুভ করে দিয়েছি। একটু আগে তিনি প্রথমবারের মতো আমাকে মেসেজ লিখলেন। তিনি লিখেছেন,


বইমেলায় নিমন্ত্রণ। ২১২-১৪ নম্বর স্টলে। দিব্য প্রকাশ। উপন্যাস-অপরাজিতা আসবে ৮ তারিখ থেকে। পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।

তিনি কি বই বিক্রি করার জন্যেই শুধু ফেসবুক ব্যবহার করেন কি না, এই প্রশ্ন বারবার জাগছে। কি লেখা যায়, এই মেসেজের প্রতিউত্তরে, তা বুঝে উঠতে পারছি না।