Monday, May 22, 2023

মৃত্যু ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী যা যা করছেন বিজ্ঞানীরা

গত ১ থেকে দেড় বছর আগেও বলতাম, আগামী ৩০-৪০ বছরের মধ্যে বিজ্ঞান মানুষের মৃত্যু ঠেকিয়ে দিবে। কিন্তু, গত কয়েক দিনের পড়াশোনায় এই ধারণায় এসে উপস্থিত হয়েছি যে, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই মানুষ অমরত্ব পাবার সুবিধা পেতে শুরু করবে। কিংবা এর আগেও।


এটি কীভাবে কাজ করবে?

মানুষের মৃত্যু ঘটে - তার শরীরে থাকা সেল বা কোষসমূহ বুড়িয়ে যাওয়ার ফলে। বুড়িয়ে যাওয়া সেলগুলি ধীরে ধীরে মানুষের বর্তমান কর্মক্ষমতা যেমন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় তেমনি শরীরকে ক্রমেই অকার্যকর করে তোলে। এগুলি রোগ প্রতিরোধী পদক্ষেপ নিতে পারে না। এতে মানুষের মৃত্যু ঘটে।


বিজ্ঞানিরা মানুষের শরীরের সেলগুলি বুড়িয়ে যাওয়া নিয়েই কাজ করছেন। যার নাম, anti-aging ও reverse aging টেকনোলজি। এই anti-aging চিকিৎসার মূল কাজ হবে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া বাঁধা দেওয়া আর reverse aging চিকিৎসা পদ্ধতি বুড়িয়ে যাওয়া থেকে তারুণ্যে ফিরিয়ে আনবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে মেডিসিনের পাশাপাশি থাকবে থেরাপি।


সাম্প্রতিক খবরাখবর

০১. ২০২২ সন পর্যন্ত anti-aging এবং reverse aging নিয়ে সহস্রাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

০২. বিশ্বব্যাপী এই মুহূর্তে ১০০ এর অধিক বৈজ্ঞানিক দল ও প্রতিষ্ঠান anti-aging এবং reverse aging নিয়ে কাজ করছেন।

০৩. Anti-aging চিকিৎসার ২০ টিরও অধিক ক্লিনিকাল ট্রায়াল এখন মানুষের উপর চলমান। যেগুলি পূর্বে প্রাণীরদের উপর ট্রায়াল শেষ করেছে।

০৪. প্রথম anti-aging মেডিসিন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে FDA অনুমোদন দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।


Anti-aging ও reverse aging নিয়ে দুই-একটা খবর: https://news.harvard.edu/gazette/story/2023/01/has-first-person-to-live-to-be-150-been-born/

https://edition.cnn.com/2023/01/12/health/reversing-aging-scn-wellness/index.html

https://www.businesstoday.in/latest/trends/story/secrets-to-slow-and-reverse-ageing-david-sinclair-india-today-conclave-2023-373907-2023-03-18

Wednesday, August 26, 2015

Life and its lesson: গুড বয় ব্যাড বয়

কোনও এক বালিকা সারাদিন সময় অসময়ে মন খারাপ করে থাকে। তার কিছুই ভাল লাগে না। কোথায় যেন শূন্যতা। বালিকার একটা গুড বয় চাই। মনে প্রাণে সে গুড বয়ের স্বপ্ন দেখে, তবে খোঁজে না। বালিকা চায়, তার গুড বয় কথার ফুলঝুরি দিয়ে তাকে অবশ করে দিক। তাকে মাতাল করে উড়িয়ে নিয়ে যাক। তাকে পাবার জন্যে পাগল হোক।

এরপর, একদিন, সত্যি সত্যি এক গুড বয় এলো। গুড বয় বালিকাকে পাবার কথা জানালো। অতিকথা না বলে সরল ভাষায় বালিকাকে তার হয়ে যেতে বলল। বালিকা গুড বয় এর কথা শুনে খুব বেশি মুগ্ধ হতে পারলো না। গুড বয় তো গুড বয়ই। সে অতি কথা কেন বলবে? বালিকার সাড়া না পেয়ে, কথা না বাড়িয়ে, গুড বয় চলে গেল।

বালিকা গুড বয় এর এমন আচরণে মনে করলো, ওটা গুড বয় নয়। ও তাকে ভালোবাসায় ভুলিয়ে রাখতে পারবে না।
এরপর, একদিন, একটা ব্যাড বয় এলো। ব্যাড বয় বালিকাকে পাবার কথা জানালো। বালিকাকে পাবার জন্যে লক্ষ-কোটি কথা দিয়ে তাকে ভুলিয়ে ফেলল। বালিকা এবার সত্যি মাতাল হলো। বালিকা মনে করলো, এ-ই তো তার গুড বয়। যার জন্যে সে এতোদিন অপ্রক্ষায় ছিলো।

বালিকা কিছুদিন ব্যাড বয়ের সাথে স্বপ্নরাজ্যের রাজকুমারীর মতো দিনযাপন করলো। এরপর বালিকা বুঝতে পারলো, সে ভুল স্বপ্নে বিভোর ছিলো। তার চাওয়া ও পাওয়া ছিলো ভুলে ভরা। বালিকা এটাও বুঝে গেলো, তার তাজা ভালোবাসা দিয়ে দিয়েছে ভুল মানুষ কে।

জীবনের এই সত্য যখন পুরোপুরি বুঝলো, তখন সে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে, সে আর বালিকা নেই; মাঝবয়সী এক বঞ্চিতা নারী। মনে পড়ে গেল সেই অতিকথা না বলা ছেলেটির কথা। এখন তার গুড বয় চিনতে একটুও কষ্ট হবে না। কিন্তু সেই দিন সে আর কখনোই ফিরে পাবে না।

Friday, April 3, 2015

প্রথম আলো : পথচলা হোক হীনমন্যতা ছেড়ে শুদ্ধতার পথে

বর্ণিল বিয়ের পাতা
(দেখতে সমস্যা হলে ছবিতে ক্লিক করে বা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন)

এক সময় প্রথম আলো কে শুধু একটি পত্রিকা নয়, বরং, নীতি, আদর্শ, সততা, শুদ্ধতা ও চেতনার অপর নাম মনে করতাম। এই পত্রিকা নিয়ে আমি গর্ব করতাম। সেই ২০০৪সাল থেকে, যখন কিশোর ছিলাম, নানান সামাজিক অসংগতি ও সমস্যা নিয়ে চিঠিপত্র ও উপ-সম্পাদকীয় এর মতামত অংশে এই পত্রিকায় লিখেছিও। এরপর ধীরে ধীরে এই পত্রিকার অনাদর্শিক এবং অশুদ্ধ কাজ দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছি। এখন এই পত্রিকাকে যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলি। এই পত্রিকা আসলে গতানুগতিক সমাজেরই প্রতিচ্ছায়া। আগে একে অনন্য-মানবিক ও অনুকরণীয় ভাবতাম। সামাজিক রুগ্নতা তাড়াতে এটি এক অন্যতম শক্তি হিশেবে কাজ করবে। এই পত্রিকা মূলত আদর্শের কথা বলে আমার বা আমাদের আস্থাকে সম্বল করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের পথে চলেছে।

Thursday, January 29, 2015

এই কথাগুলো এলেবেলে

ফেসবুকে মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। অধিকাংশ মানুষই তার ভেতরের একান্ত মানুষটিকে এখানে মেলে ধরে। কাউকে জানতে চাইলে তার ফেসবুকের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখলে তাকে দারুণভাবে জানা যাবে। ফেসবুকের আঙিনায় একজন মানুষের মন ও মনের ভেতরটাকে যতোটা জানা যায় ততোটা হয়ত তার খুব কাছে থেকেও জানা যায় না। আমি নানান কারণেই ফেসবুকের অবদানকে খুব গুরুত্ব দেই। মানুষ তার মনের একান্ত অনুভূতিকে তুলে ধরার চমৎকার উপায় পেয়েছে; একারণেও আমি ফেসবুকের অবদানকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করতে চাই।

Thursday, January 15, 2015

মানুষের কথা

মানুষ এমনি এমনি অহংকার করে না। অহংকার করার মতো কিছু থাকলে তখনই করে। আমি অহংকারের বিরুদ্ধে না। অহংকার ততোটুকুই সমর্থনযোগ্য যা ব্যক্তির মানবিক গুণাবলীকে মলিন করবে না। সম্পদ ব্যক্তিকে তার অজান্তেই অহংকারী করে তোলে।

মানুষ দুই রকম সম্পদ নিয়ে অহংকার করে। এক হল তার অর্জন করা সম্পদ এবং দ্বিতীয়টা অর্জন না করে পাওয়া সম্পদ। যারা অর্জন করা সম্পদের অহংকার করে তাঁরাই উত্তম। এই অহংকার সৃষ্টিশীল। এরকম অহংকার ব্যক্তিকে আরও শক্তি দেয় এবং ব্যক্তি অর্জন করার জন্যে আরও বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। যারা অর্জন না করা সম্পদের অহংকার করে তারা নিতান্তই অধম। এই অহংকার সৃষ্টিশীল নয়। এই অহংকার ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করে রাখে।

Saturday, January 10, 2015

সুহৃদা

কিশোর বয়সের প্রেমের মতো তৃপ্তিদায়ক স্মৃতি আর কোনও সময়ের প্রেমে দেখিতে পাওয়া যায় না। ইহা আজীবন মনের অলিগলিতে চলাচল করিয়া আপনাকে আনমনা করিবে। আপনি মনে মনে ভাবিয়া যথেষ্ট তৃপ্তিও লইতে পারিবেন। এহেন স্মৃতি মুছিবার সাধ্য কাহারো নাই। আমিও কিশোর বয়সে এক সহপাঠীকে ভালোবাসিয়াছিলাম। তাহার কোমল কণ্ঠ, মৃদু পায়ে চলা এবং লাজুক অথচ দৃঢ় ভঙ্গিমায় নিজেকে উপস্থাপন করিবার সুনিপুণ দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করিয়া তুলিত। তাহাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইতাম। মুগ্ধতা লইয়াই আমি তুষ্ট থাকিতাম। তাহাকে ভালোবাসিবার মতো দুঃসাহস করিতাম না। কারণ আমাদিগের মধ্যে এক সামাজিক দেয়াল পথ আটকাইয়া ছিল। নিজ হইতে সে দেয়াল উপেক্ষা করিয়া এবং একতরফা তাহাকে ভালবাসিবার মতো বেগতিক মনের অধিকারী আমি ছিলাম না। এইরূপেই আমার দিন কাটিয়া যাইতেছিল। ইহার মধ্যেই লক্ষ্য করিলাম, আমার মনোহারিণী তাহার কোমল চাহনি দিয়া আমাকে কি যেন কহিতে চাহিতেছে। ইহা দেখিয়া আমার প্রেমিক হিয়া উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। আকাশের চন্দ্র হাতে পাইবার মতো আনন্দ আমার মনে ভর করিল। দিনরাত্রি তাহাকে লইয়া ভাবিতে থাকিলাম। তাহাকে লইয়া ভাবিতে কতো যে সুখ, তাহা ভাষায় প্রকাশ করিবার মতো নহে। সুযোগ পাইলেই নিজেকে আড়াল করিয়া আপন মনে তাহাকে লইয়া ভাবিতাম। আহা! ভাবনার সেই ক্ষণগুলি বড়োই মধুর!

Saturday, December 27, 2014

শিশু জিহাদ ও গুজব

শিশু জিহাদ মারা যাওয়ার জন্যে সরকার মহাশয় দায় এড়াতে পারেন না। প্রথমত সরকারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় জিহাদ নামক শিশুটি গভীর পাইপের মধ্যে পড়লো এবং সরকারী আরেক প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতায় শিশুটি জীবিত উদ্ধার না হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।

আরেকটা বিষয় আমি খেয়াল করলাম, জিহাদ পাইপে পড়ে যাওয়াকে অনেকেই গুজব বলে মনে করেছেন। কোনও ঘটনা ঘটলেই সেটাকে কিছু মানুষ গুজব মনে করে। তারা সরলভাবে ঘটনাকে দেখতে পারে না। কেন পারে না? আবার কেন মানুষ গুজব তৈরি করবে বা একটি ঘটনাকে মানুষ গুজব বলে মনে করবে? এর জন্যে দায়ী কে বা কী?

Thursday, November 20, 2014

ঠেলা ও ঠেলাঠেলি

ঠেলা ও ঠেলাঠেলি

ধরাতলে যোগ্যতার চেয়ে ঠেলার শক্তি বেশি। ঠেলা মারতে পারলে অথবা কারো জন্যে অন্য কেউ ঠেলা দিলেও জায়গামতো চলে যাওয়া যায়। ঘরে বা বাইরে, মাথার ঘিলু বা সর্বোপরি যোগ্যতা অনুসারে যেখানে যার থাকার কথা, সেখানে সে নেই। ঠেলাঠেলি করলে, ঠিকই জায়গা বরাবর পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। সে জায়গায় তার মানাক বা না মানাক, তা মুখ্য বিষয় নয়।

এবারে ঠেলা তত্ত্ব নিয়ে ভাবা যাক। ঠেলাঠেলি দুই প্রকার। অবশ্য "ঠেলার নাম বাবাজি" বলে আরেক ঠেলা আছে। তবে সেই ঠেলা এই ঠেলা নয়। পূর্বে উল্লেখিত দুই প্রকার ঠেলাঠেলির মধ্যে প্রথম প্রকার হল, নিজের ঠেলা। আর দ্বিতীয় ঠেলা হল, নিজের হয়ে অন্য কেউ ঠেলে দেওয়া। এই দুই ঠেলাই যবরদস্ত কাজের।

Monday, October 6, 2014

গরুর ভাগ্য বৃত্তান্ত

গরুর ভাগ্য বৃত্তান্ত

মানুষ হইয়া জন্ম নিতে না পারায় পশু-পাখীদের মনে দুঃখ থাকিতে পারে। ইহা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই দুই হাজার চৌদ্দ সালে আসিয়া বলিতে হইবে গরু জাতির গরু হিশাবে জন্ম লওয়া সার্থক হইয়াছে। এ বছর গরুসকল পৃথিবীর ইতিহাসে মানব মানবীদের নিকট হইতে রেকর্ড পরিমাণ আদর ভালোবাসা পাইয়াছে। ইহা অবিস্মরণীয়। ইহা গরুদের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিয়া রাখা উচিত। গরু জাতি এবার মরিয়াও শান্তি পাইবে।

Tuesday, September 9, 2014

আপনারে আপনি চিনি নে

তোমার জন্মের পর থেকে ঠিক এই মুহূর্ত পর্যন্ত তুমি অন্য মানুষ কিংবা সমগ্র মহাবিশ্ব সম্পর্কে যতো জেনেছ ততোটা নিজেকে জানো নি। যতো জ্ঞান আহরণ করেছ তা তোমার সম্পর্কে নয়, তোমার চারপাশ সম্পর্কে। অন্যের মনের খবর জানার জন্যে তার মনের জানালা দিয়ে উঁকি মেরেছ। অন্যের মনকে দেখার বা জানার জন্যে অন্যজনের কাছে ছুটে গেছ। অথচ তোমার নিজেরও একটা মন আছে। সেই মনে প্রবেশ করতে হলে উঁকি মারতে হবে না। লুকিয়ে দেখতে হবে না। তুমি সরাসরি তোমার মনের গভীর থেকে আরও গভীরে চাইলেই যেতে পারবে। অথচ, তুমি নিজের মনের সাথে কথা বল খুবই কম। ফলে তুমি মাঝে মাঝেই তোমার গতি হারাও কিংবা নিজের কাছে হয়ে যাও অচেনা। নিজেকে জানো না বলে তোমার মন কখনো কখনো তোমাকে করে এলোমেলো। কখনো সে তোমার সাথে করে পাগলামি। পাগল মনকে সামাল দিতে তুমি হিমশিম খাও। নিজেকে জানো না বলে নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকে যৎসামান্য।

Monday, August 25, 2014

রুমন আনামের ফটোগ্রাফিক ছড়া


ঝিলিক দেওয়া ছবি নিছিস

ময়লা টাকা দিয়ে 

তিরিশ বছর পরে দেখিস
তোর হবে না বিয়ে! 




তুই তো দেখি বড়ো চালাক
করলি আমায় বোকা 

জানলে আগে তোর ছবিতে
লাগায় দিতাম পোকা !




লাইক পাবি গোটা দুয়েক
কমেন্ট হবে ফাঁকা 
সোজা নাকটা দেখলে মানুষ
বলবে তবু বাঁকা! 

Wednesday, May 21, 2014

ও স্বাপ্নিক

প্রায় সব স্বপ্নবান তরুণ-তরুণীর চোখে সম্ভবনার ঝিলিক লেগে থাকে। ভালো করে চেয়ে দেখলে, তা দেখা যায়। স্বপ্নবানদের হৃদয় কোমল। বাহির থেকে তাদের কঠিন মনে হয়। তাদের হৃদয় স্পর্শকাতর। অল্পতেই প্রতিক্রিয়া দেখায়। অল্পতেই তার হৃদয়ে পৃথিবীর সব বিষয়ের দোলা লাগে। এতে সে অন্যদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি কিছুটা বিরক্তিকর।